চামড়ার দরে কারসাজি :দায় কার_দায় ব্যবসায়ী মহলকেই নিতে হবে

চামড়ার দরে কারসাজি :দায় কার

দায় ব্যবসায়ী মহলকেই নিতে হবে

 প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০১৯       প্রিন্ট সংস্করণ        

সমকাল প্রতিবেদক

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, এবার ঈদুল আজহায় চামড়ার দর নিয়ে যে কারসাজি হয়েছে, তার দায় কিছুটা হলেও ব্যবসায়ী মহলকে নিতে হবে। কেননা চামড়া খাতের অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করেন না। এ কারণে তাদের অর্থ সংস্থান কম ছিল। চামড়া কেনার জন্য অর্থের অভাব এই বাজারের বড় সমস্যা। চামড়া কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছিল। তবে তা পর্যাপ্ত নয়।

সমকালকে তিনি বলেন, এ বছর যে চামড়ার দাম কমবে তা গত কয়েক বছরের বাজার বিশ্নেষণ করে আগেই অনুধাবন করা গিয়েছিল। ব্যবসায়ীদের ঋণ পরিশোধ না করা, চামড়া কিনতে পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান না থাকা. চামড়া সংগ্রহের প্রক্রিয়া, গুণগত মান নষ্ট হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে এবার চামড়ার দামে বিপর্যয় ঘটেছে। তিনি জানান, এ বছর তার নিজের গ্রামের বাড়িতে ছয়টা গরু কোরবানি দেওয়া হয়। কিন্তু চামড়া সংগ্রহ করতে কেউ আসেনি।

আহসান মনসুর আরও বলেন, গত কয়েক বছরের বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চামড়া পণ্যের মান ভালো হলেও পরিবেশগত কারণে বিদেশি ক্রেতাদের অনেকেই তা নিতে চায় না। আন্তর্জাতিক গড় দরের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে চীন থেকে সংগ্রহ করার দিকেই ক্রেতাদের মনোযোগ বেশি। এ কারণে কয়েক বছর ধরে চামড়া রফতানিতে ভালো করতে পারছে না বাংলাদেশ, যার প্রভাব এবার কোরবানির চামড়ার স্থানীয় বাজারে পড়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অসংগঠিতভাবে চামড়া সংগ্রহ করা হয়। ছোট ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়া নিয়ে আসেন। তারা প্রক্রিয়াকরণের নিয়ম জানেন না। সময় মতো প্রক্রিয়ার কাজ করেন না। এরা ক্ষুদ্র্র প্রতিষ্ঠান এবং এদের হাতে পর্যাপ্ত পুঁজি ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। ফলে চামড়ার গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়।

https://www.samakal.com/economics/article/19081151/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87

Dr. Ahsan H. Mansur

Dr. Ahsan H. Mansur

Dr. Mansur started his career as a Lecturer, Department of Economics, Dhaka University in 1976. He left for Canada for higher studies in economics in the same year. As a graduate student and research assistant, he was also offering regular economics courses at the undergraduate level at the University of ...